নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) তিন মাস আটকে রেখে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (১৪ নভেম্বর) ওই কিশোরী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেছে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই সবকিছু মাথায় রেখে সামনে এগুচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো একদল বখাটে। এ বিষয়ে সে তার খালাকে জানালে বখাটেরা ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরে গত ২৬ আগস্ট সকাল ১০টায় ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার সময় স্থানীয় মজুমদার হাটের আবু নাছেরের বাড়ির সামনে থেকে নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন, কামাল, নাছের, হাজীপুর পাঁচ বাড়ির ফরহাদ সিএনজিযোগে সেনবাগ থানার ছাতারপাইয়ার এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। মামলার এজাহারে বলা হয়, ছাতারপাইয়ার এক ব্যক্তির বাড়িতে আটকে রেখে সেখানে আবদুল্লা আল মামুন ও কামাল ধর্ষণ করে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর বাসযোগে ঢাকায় নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে টাঙ্গাইলের শহিদপুর গ্রামের এক বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে কামাল, নাছের ও ফরহাদ ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে গেলে ওষুধ খাইয়ে সুস্থ করে আবারও ধর্ষণ করে। গত ৯ নভেম্বর ওই ছাত্রী কৌশলে পালিয়ে তার বাড়ি চলে আসে। সুস্থ হয়ে ১৪ নভেম্বর বেগমগঞ্জ মডেল থানায় এজাহার দায়ের করে।
জেলা সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন বলেন, বাদী যখন আমাকে দিয়ে এজাহার লেখাচ্ছিলেন, তখন ধর্ষকরা ভিকটিমের মোবাইলে একাধিকবার কল করে। এ ঘটনার বিচার হওয়া দরকার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।